একদিকে জমে উঠেছে চৈত্র ছেলের শেষ দিন, অন্যদিকে পুজোর বাজার জমজমাট।
রিপোর্টার,সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১৪ ই এপ্রিল সোমবার, চৈত্র মাসের শেষ দিন, আর এই শেষ দিনে বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটার ভীড়, প্রখর রৌদ্রতাপকে পিছনে ফেলে বেরিয়ে পড়েছে কেনাকাটা করতে, পরিবার ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে। আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে এই চৈত্র ছেলের কেনাকাটার জন্য, বাঙ্গালীদের উৎসব শুভ নববর্ষ, তাই রাত পোহালেই ছেলেমেয়েরা মেতে উঠবে নতুন জামা কাপড় পড়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। পূজিত হবে দোকানে দোকানে লক্ষ্মী ও গণেশের আরাধনা, নতুন হালখাতা,
অন্যদিকে পসরা নিয়ে বসে বিক্রেতা থেকে শুরু করে দশকর্মার দোকান দারেরা। তাই বিভিন্ন বাজারে লক্ষ্মী প্রতিমা ও গণেশ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন, একটি বছর পর আবার প্রতিটি দোকানে দোকানে লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো। নতুন করে সেজে উঠবে দোকানগুলি।
একদিকে যেমন চৈত্র সেলের বাজার গরম, অন্যদিকে প্রতিমা ও ফল ফুলের দাম আগুন। ক্রেতারা বিপাকে, এক লাফে ফল থেকে শুরু করে ফুল ও ডাবে হাত দেওয়া মুশকিল, একটি ডাব ৫০ টাকা থেকে শুরু, কলার ডজন ৮০ টাকা, আপেল ২০০ টাকা, বেদানা দুশো টাকা, শসা ৮০ টাকা, আঙ্গুর দেড়শ থেকে 200 টাকা, তেমনি ভীড় জমিয়েছে মিষ্টির দোকানে, দোকানিরা মিষ্টির অর্ডার দিতে ব্যস্ত, তাহাদের পছন্দ সই মিষ্টি অর্ডার দিতে দোকানে ভিড় জমিয়েছেন। সকাল হলেই শুরু হয়ে যাবে দোকানে দোকানে পূজার অর্চনা।
একটি বছর নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ,আনন্দ দুঃখ বেদনা মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত হওয়ার পর, বেদনা ভরা বিদায় দেওয়ার পর, আবার বাঙালীরা নতুন বছরকে আহ্বান করছে, নব রুপে আসো, নব সাজে আসো,, গাহি আমরা নতুনের গান, এসো প্রাণের বৈশাখ , শুভ নববর্ষ ১৪৩২ ।